সরওয়ার কামাল
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ এপ্রিল দুপুর ১২টায় মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি ডাঃ এসএম ওসমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মকসুদুল হকের পরিচালনায় ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শরীয়ত উল্লাহ,র পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি আলহাজ্ব ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ জাকের হোছাইন, কক্সবাজার জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ মহসিন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণের আমির মাষ্টার শামিম ইকবাল, নায়েবে আমির মাষ্টার আজিজুল হক, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম , মাষ্টার আব্দুল মাজেদ, কক্সবাজার জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, মাষ্টার আক্তার কামাল, মৌলানা আব্দুল হক হক্কানি, মহেশখালী পৌরসভার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মোঃ তারেক রহমান, হোযানক ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মুবিনুল হক, মহেশখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোতাহের হোছাইন, মাওলানা আবুল হোসেন, মোহাম্মদ কাসেম ঠিকাদার, মাওলানা আব্দুল মালেক, আব্দুল খালেক, মোহাম্মদ সোহেল, মাষ্টার গোলাম শরীফ, মৌলানা সিরাজুল ইসলাম, মৌলানা মোঃ ইসমাইল সহ সংগঠনের নেতা কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন। মহেশখালীতে শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্টানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি ড. এএইচ,এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, শ্রমিকদের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের মতো গতানুগতিক কোন সংগঠনের মতো কোন সংগঠন নয়। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান ও ন্যায় সংগত দাবী আদায় করার জন্য ১৯৬৮ সালের শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ইসলামী শ্রমনীতির বাস্তবায়নের সংগ্রাম এবং সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দেয়ায় শ্রমজীবী মানুষের আস্থা ও আশ্রয়ের নাম বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটা গোষ্ঠী সারাদেশে চাঁদাবাজ, হাট বাজার দখল থেকে শুরু করে লবণের মাঠ দখলের মহোৎসব চালিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি, ইসলামি ছাত্র শিবির ও শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কর্মীরা জনগণের সহায়তায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে আবারো জাতিকে বিভক্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। অতীতে যারা জাতিকে বিভক্ত ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। যারা ফ্যাসিবাদকে পুর্নবাসন করতে চায় তাদেরকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে । তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ৫৩ বছর শাসন দেখেছে শুধু নেতার পরিবর্তন হয়েছে, নেতার পারিবারিক ও আত্বিয়স্বজনের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে এ দেশের সাধারণ মানুষের পরিবর্তন হয়নি। তাই জুলাই বিপ্লবের ছাত্র- জনতার রক্তের প্রতি সম্মান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি ন্যায়, ইনসাফ ও টেকসই আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি দাওয়াতী পক্ষ কে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেক মানুষের কাছে জামায়াত ইসলামির সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দিতে সকলের প্রতি আহবান জানান।