সরওয়ার কামাল
মহেশখালীর গর্বিত সন্তান ফয়সাল আমিন অস্ট্রেলিয়ায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। এটি তাঁর তৃতীয় ডিগ্রি, যা স্থানীয় ও প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ফয়সাল আমিন তাঁর সাফল্যের জন্য সম্পূর্ণ কৃতজ্ঞ বাবা-মায়ের প্রতি, যাঁদের আত্মত্যাগের ফলে তিনি আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছেন। কঠিন দরিদ্রতার মধ্যেও তাঁরা কখনো ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপস করেননি, বরং শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে তাঁকে স্কুলে পাঠিয়েছেন।
“আমার বাবা-মা নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে আমাকে শিক্ষিত করার জন্য স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। যদি তারা আমাকে স্কুলে না পাঠিয়ে কাজ করতে বাধ্য করতেন, তাহলে আজ আমি যেখানে আছি, সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। আমার সমস্ত সাফল্যের পেছনে তাদেরই অবদান,”—বলেন ফয়সাল আমিন।
তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান তাঁর জীবন-প্রশিক্ষক জেন আইরিন কেওগের প্রতি, যাকে তিনি “এক নারী বাহিনী” বলে আখ্যায়িত করেন। এছাড়া, ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর স্ত্রী তারজিনা রিমার আগমন তাঁর শিক্ষাজীবনে নতুন প্রেরণা যোগায়। “তাঁর সহযোগিতা ছাড়া এই মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না,” বলেন তিনি।
বর্তমানে ফয়সাল আমিন একটি গবেষণা ডিগ্রি নিয়ে কাজ করছেন, যা তাঁকে ভবিষ্যতে পিএইচডির দিকে নিয়ে যাবে। তিনি স্বীকার করেন যে এই পথটি সহজ নয়, তবে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: “আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং শিক্ষার এই পথচলা অব্যাহত রাখব।”
মহেশখালীর মতো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা এই মেধাবী যুবক মহেশখালী তরুণ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাঁর এই অর্জন স্থানীয় তরুণদের শিক্ষার প্রতি আরও বেশি আগ্রহী করে তুলছে এবং উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
ফয়সাল আমিন সকলের কাছে দোয়া ও সমর্থন কামনা করেছেন। তাঁর এই সাফল্য শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি মহেশখালীবাসীর জন্য গর্বের একটি অধ্যায় এবং শিক্ষা ও সংকল্পের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।